খেলাধূলা ডেস্ক
আর্জেন্টিনার ম্যাচ টাইব্রেকারে যাবে, আর সেটাতে নায়ক হয়ে উঠবেন ন এমিলিয়ানো মার্তিনেস, গত কয়েক বছরে এটাইতো অলিখিত নিয়ম! ২০২১ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু, এরপর ২০২২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ও ফাইনালে একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন গোলকিপার এ মহাকাব্য আবারও রচনা করলেন এবারের কোপা আমেরিকাতে।
টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হওয়া ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে সমর্থকদের আস্থার প্রতিদান কী দারুণভাবেই না দিলেন মার্তিনেস। টাইব্রেকারের সময় নির্ভার থেকে ঠেকালেন ইকুয়েডরের দুটি পেনাল্টি। মার্তিনেসের আত্মবিশ্বাস দেখে মনে হচ্ছিল, টাইব্রেকারে দলের জয় নিশ্চিত করার জন্যই যেন জন্ম হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ পেনাল্টি মিসের কারণ জানালেন মেসি
আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শট নিতে আসেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার শট লাগে গোলবারে। হতাশ আলবিসেলেস্তেদের জন্য আরও একবার নায়ক হন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আনহেল মিনার শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।
পরের শটে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন হুলিয়ান আলভারেস। এরপর অ্যালান মিন্ডার শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মার্তিনেস। টানা দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন তিনি। বাকি শটগুলোতে সবাই গোল করলেও স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসেলেস্তেরা।
পুরস্কার নিতে এসেও আত্মবিশ্বাসের ঝলকানি দেখা গেল মার্তিনেসের কথায়। সেখানে জানালেন, ‘ওদের (সতীর্থদের) বলেছি, আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই। ওরাও (এখনই) যেতে চায়নি। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, একইসঙ্গে (দক্ষিণ) আমেরিকারও। এ দলটি আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার দাবি রাখে।’
এখন অবধি চারবার টাইব্রেকারের মুখোমুখি হয়েছেন মার্তিনেস। প্রতিবারই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এর পেছনে রহস্য কী?
তিনি বলেন, ‘আমি পেনাল্টি শটের জন্য কাজ করি, প্রতিদিন ৫০০টা শট অনুশীলন করি। সবসময় নিজেকে ভালো অবস্থায় রাখি আর চেষ্টা করি দলকে যেন সেরাটা দিতে পারি। আর্জেন্টিনা এমন কিছু প্রাপ্য, যারা টাকা খরচ করে আমাদের দেখতে এসেছে তারাও। আমি গর্বিত, গোলরক্ষক ও মানুষ হিসেবে আরও উন্নতি করতে চাই। ’
Discussion about this post