শিক্ষার আলো ডেস্ক
‘দ্য সিক্রেট ডোর টু আ চাইল্ডস পারফেক্ট ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে আনানের লেখাটি ছিল এক শিশুর কল্পনার সুন্দর এক পৃথিবী, যেখানে সব শিশু নিরাপদ ও আনন্দময় শৈশব অতিবাহিত করে। শেখার সুযোগ পায় স্বাধীনভাবে এবং শিক্ষকদের আদর স্নেহে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিশুর জন্য নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় আনানের স্বপ্নের জগৎ। সে চায় নিরাপত্তা, মানবতায় পূর্ণ শৈশব। আনান তার লেখা শেষ করে এই বলে, সে যখন আবার বাস্তবে বর্তমান সময়ে নিজ পড়ার টেবিলে ফিরে আসে তখন সব কিছুই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু হাতের মুঠিতে ঠিকই রয়ে যায় কল্পনার রাজ্যের ছোট্ট মেয়ে তৃমার দেওয়া গাছের বীজটি। যে বীজ থেকে জন্ম নিবে ‘আশা বৃক্ষ’।
গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়ে দারুণ খুশি আনান গণমাধ্যমকে জানায়, গত মে মাসে স্ট্যান্ডার্ড ফোর-এ পড়ার সময়ই সে রচনাটি পাঠিয়েছিল। রয়্যাল কমনওয়েলথ সোসাইটি ই-মেইলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
চিঠির সাথে তারা সনদের ডিজিটাল কপিও পাঠিয়েছে।

উল্লেখ্য, কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ১৮৮৩ সাল থেকে রয়্যাল কমনওয়েলথ সোসাইটি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। চলতি বছর কমনওয়েলথের ৫৬টি সদস্য দেশের ৫৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপে অংশ নেয়। এটি গত বছরের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
দুই গ্রুপে বিজয়ী ও রানার-আপ চারজনকে (একজন অভিভাবকসহ) লন্ডনে এক সপ্তাহের শিক্ষামূলক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি বিশেষ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা। এ ছাড়া লেখায় শ্রেষ্ঠত্ব বিবেচনা করে বেশ কিছু অংশগ্রহণকারীকে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয় এবং অংশগ্রহণকারী সবাই পান অংশগ্রহণের সার্টিফিকেট।















Discussion about this post