শিক্ষার আলো ডেস্ক
এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত এশিয়া কাপের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জমজমাট এই লড়াইয়ে গ্রুপ পর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে টানা ৭ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল ভারত।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। ফাইনাল জয়ের নায়ক তিলাক ভর্মা। ৫৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৬৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে ৮৪ রান যোগ করেন তারা। ইনিংসের দশম ওভারে প্রথম সাফল্য পায় ভারত। ফারহানকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক এই জুটি ভাঙেন বরুণ চক্রবর্তী। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ফারহান।
এরপর সাযইম আইয়ুবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ২৯ রান যোগ করেন ফখর। ইনিংসের ১৩তম ওভারে দলীয় ১১৩ রানের মাথায় সাইমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। ১১ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।
সাইম ফিরে যাওয়ার পরেই শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়। ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। চারে নেমে অক্ষর প্যাটেলের বলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন মোহাম্মদ হ্যারিস। এরপর সেট ব্যাটার ফখর জামানও হ্যারিসের দেখানো পথে হাঁটেন। বরুণের শিকার হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন এই ওপেনার।
পরবর্তীতে পাকিস্তানের হয়ে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। অধিনায়ক সালমান আগার ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। মোহাম্মদ নাওয়াজ ও হারিস রউফ খেলেন ৬ রানের ইনিংস। এছাড়া হুসেইন তালাত ১ রান, আবরার আহমেদ ১ রান এবং ফাহিম আশরাফ ও শাহিন আফ্রিদি ডাক মেরে ফেরেন।
ভারতের পক্ষে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল।
Discussion about this post