খেলাধূলা ডেস্ক
বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে আবারও হাসির ঝলক। মিরপুরের সবুজ গ্যালারি সাক্ষী হয়ে রইল রইল একঘূর্ণি নৈপুণ্যের, যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে স্বাগতিকরা ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই জয় শুধু সিরিজ জয়ের নয়, মিরাজের অধিনায়কত্বের প্রথম মুকুটও বটে। হোম অব ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটি বাংলাদেশের। এর আগে, ২০১৮ সালে ১৬৩ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল লাল-সবুজেরা।
১৯ মাস পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৪ সালের মার্চে ঘরের মাঠে শেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের জোড়া ফিফটি, এরপর নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেনদের ঘূর্ণিঝড়ে ক্যারিবিয়ানদের ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা।
আরও পড়ুনঃদুই দশকের রেকর্ড ভেংগে নতুন রেকর্ড গড়লেন স্পিনার রিশাদ !
বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের সামনে ধসে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। ২৯৭ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০.১ ওভার শেষে মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ২৯৬ রান, ৮ উইকেটের বিনিময়ে।
কিন্তু এরপর যা হলো, তা ছিল একতরফা ঘূর্ণি উৎসব। স্পিনারদের সামনে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পণ। শুরুটা করেন নাসুম আহমেদ—দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে ৬ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন তানভির ইসলাম (২/১৬) ও রিশাদ হোসেন (৩/৫৪)। নেতৃত্বে থেকেও নিজের ছাপ রাখেন মিরাজ, নেন ২ উইকেট। নাসুম আহমেদ এবং রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণির সামনে ব্যাটারদের একের পর এক উইকেট হারাতে হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলেন আকিল হোসেইন, যিনি ১৫ বলে ২৭ রান করে মিরাজের কাছে উইকেট খুইয়ে আসেন। তার আগে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্র্যান্ডন কিং করেন ১৮, কিসি কার্টি ১৫, এবং জাস্টিন গ্রিভসও ১৫ রানে থেমে যান। দলের অন্য ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আজকের দিনে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। তারা দুজনেই ৩টি করে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম দিকেই চাপে ফেলে দেন। তানভীর ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।
Discussion about this post