খেলাধূলা ডেস্ক
দ্রুততম অর্ধশত গোলের রেকর্ড তো আগেই করে ফেলেছেন আর্লিং হলান্ড। এবার আরেকটি রেকর্ডের দিকেও ছুটছেন তিনি, যে রেকর্ডটি লিওনেল মেসির। খুব বাজে ফর্মে না থাকলে সেই রেকর্ডটিও নিজের করে নেওয়া তার কেবল সময়ের ব্যাপার।
যেন মানুষ নন, গোল করার জন্যই জন্মেছেন—আর্লিং হলান্ডকে দেখলে এমনটাই মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাতে আবারও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান তারকা। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-০ জয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটা আসে তার পা থেকেই—আর তাতেই ইতিহাসের আরও এক ধাপ কাছে পৌঁছে গেলেন তিনি।
চলতি মৌসুমে হলান্ড গোল করাকে এতটাই সহজ বানিয়ে ফেলেছেন যে কোচ গার্দিওলাও তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছেন। বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এই লোক সমস্যায় পড়বে। প্রতি ম্যাচে তার কাছ থেকে ৩–৪ গোল করে আশা করা হবে।
এই এক গোলেই হালান্ডের নামের পাশে যুক্ত হলো বিস্ময়কর এক পরিসংখ্যান—টানা ১২ ম্যাচে গোল (ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে)। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তার গোলসংখ্যা ১১ ম্যাচে ১৫টি। পরিসংখ্যান নয়, এটি এক অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা, যা ইউরোপের মঞ্চ কাঁপিয়ে দিচ্ছে।

২০১১–১২ মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৩ গোলের অনন্য এক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছিলেন মেসি। শুধু লা লিগাতেই করেছিলেন ৩৭ ম্যাচে ৫০ গোল। মেসির অবিশ্বাস্য সেই রেকর্ডও এখন হলান্ডের চোখ রাঙানিতে পড়েছে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্যটা হচ্ছে, হলান্ড এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র ৫১ ম্যাচে ৫৩ গোল করেছেন! ইতিহাসে মাত্র আটজন খেলোয়াড়ই তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। তবে বয়সের বিচারে তিনি এমন এক কীর্তির পথে, যা এক সময় কেবল লিওনেল মেসির নামেই মানাতো।
২৬ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত মেসির গোল ছিল ৫৯টি। আর হলান্ডের বয়স এখনো ২৬ হয়নি—আগামী গ্রীষ্মেই কেবল সেই মাইলফলকে পৌঁছাবেন। অর্থাৎ, পুরো ২০২৫/২৬ মৌসুমটাই সামনে রয়েছে এই নরওয়েজিয়ান দানবের জন্য।














Discussion about this post