খেলাধূলা ডেস্ক
আজ রোববার (১৭ অক্টোবর) বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের ঝাঁঝে ১৪০ রানেই থেমে গেছে স্কটিশরা। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২০ বলে করতে হবে ১৪১ রান।
এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই সাফল্য প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ। তার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন স্কটিশ ব্যাটার জর্জ মানসি। তবে আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। রিভিউও করেনি বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। এলবিডব্লুর আবেদন হয়েছিল তার বলেও, তবে তাতেও সাড়া মেলেনি।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সাফল্য পান তিনি। তার দারুণ ইয়র্কারের জবাব ছিল না কাইল কোয়েটজারের, ৭ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন স্কটিশ অধিনায়ক।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে বেশ খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজ। তার করা ওভারের দ্বিতীয় বলে চার, পঞ্চম বলে ছয় হাঁকান মানসি। পাওয়ার প্লে শেষে স্কটল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৩৯।
মুস্তাফিজের ওপর চড়াও হওয়ার পর বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটার জর্জ মানসি। তবে পথের কাটা সরান মেহেদী হাসান। এর আগে একই ওভারে শিকারে পরিণত করেন ম্যাথু ক্রসকে। তার জোড়া আঘাতে ম্যাচে প্রাণ ফিরে পায় টাইগাররা।
আউট হওয়ার আগে জর্জ মানসি করেছিলেন ২৩ বলে ২৯ রান। এছাড়া ম্যাথিউ ক্রস করেছেন ১৭ বলে ১৩ রান। এদিকে, মেহেদীর জোড়া আঘাতের পর জোড়া সাফল্য পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো। লঙ্কান কিংবদন্তি বোলার লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এখন তার উইকেট সংখ্যা ১০৮টি।
সাকিব রেকর্ড গড়ার পরের ওভারে আবারও সাফল্য পান মেহেদী। এ নিয়ে ম্যাচে ৩ উইকেট পেলেন তিনি। ব্যক্তিগত ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে মূল্যবান ৩ উইকেট শিকার করে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করলেন।
মেহেদীর পর নিজের কোটা শেষ করেন সাকিব। আগের ওভারে বিশ্ব রেকর্ড গড়া বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার এদিন ৪ ওভার বল ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এদিকে, সাইফউদ্দিন-সাকিব-মেহেদীর পর উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন আহমেদও। ১৮ তম ওভারে বল করতে এসে মার্ক ওয়াটকে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান তিনি। আউট হওয়ার আগে ওয়াট করেছেন ১৭ বলে ২২ রান। এদিকে তাসকিন উইকেট পেলেও দুই চার ও এক ছয় খরচ করেছেন।
দলের সেরা বোলার মুস্তাফিজের ওভারেই সবচেয়ে বেশি স্বস্তিতে ছিল স্কটিশ ব্যাটাররা। তবে ২০ তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে জোড়া শিকার করেন কাটার মাস্টার।













Discussion about this post