খেলাধূলা ডেস্ক
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ভুলে যাওয়ার মতো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচে দুটিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন। করলেন ০ আর ১ রান।
বাংলাদেশের যে সংস্কৃতি, এমন শুরুর পর ইয়াসির আলি রাব্বির ওয়ানডে ক্যারিয়ার হুমকির মুখেই পড়ে যাওয়ার কথা। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট তার ওপর আস্থা রাখলো। দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনেও একাদশে জায়গা পেলেন মাত্র তিন ওয়ানডের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইয়াসির।
কীভাবে সম্ভব হলো? এতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কিভাবে খেললেন? ইয়াসির জানালেন তার এই সাফল্যের নেপথ্যের দুই নায়কের নাম-সাকিব আল হাসান আর এবি ডি ভিলিয়ার্স।
রাব্বি বলেন, ‘অনেক কথার মধ্যে কিছু না কিছু কথা থাকে যেগুলো কাজে লাগে সব সময়ই। ডি ভিলিয়ার্স হোটেলে এসেছিলেন। হ্যাঁ উনি এমন কিছু কথা বলেছেন আমাদের, বিশেষ করে আমার জন্য খুব কাজে লেগেছে।’
বাংলাদেশের প্রোটিয়া হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর আমন্ত্রণে ম্যাচের আগের দিন হোটেল রুমে এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার সঙ্গে কথা বলা এবং মাঠে সাকিবের উপস্থিতি মানসিকতাই বদলে দিয়েছিল, জানান ইয়াসির।
ইয়াসির বলেন, ‘যখন আমি (ব্যাটিংয়ের সময়) সাকিব ভাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম উইকেট কেমন। তিনি সরাসরি বলেন, এটা খুব ভালো উইকেট। যদি ৫-১০টা বল খেলিস, বুঝে যাবি উইকেটটা। তারপর নিজের শট খেলতে পারবি।’
ভ্যান ডার ডাসেন যখন ৮৬ রানে ব্যাটিং করছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১২.৫ ওভারে দরকার ছিল ১২৩ রান। ডেভিড মিলারের সঙ্গে ডাসেনের জুটি তখন ৭০ হয়ে গেছে, দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সময় স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচও নেন ইয়াসির।
সেই সময়ের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুটা টেনশনে ছিলাম। জুটি বড় হয়ে যাচ্ছিল, যদিও আমরা তাদের চাপে রাখি। তারা বাউন্ডারি বের করে ফেলছিল, আমরাও ডট বল করছিলাম। রানরেট বাড়ছিল। আমি ভাবছিলাম এই উইকেটে আমাকে বিশেষ কিছু করতে হবে। যে কোনো একটা সুযোগ আসলে আমি নিবই, ভাবছিলাম। সবাই ক্যাচটার খুব প্রশংসা করেছে।’ courtesy- jago news













Discussion about this post