খেলাধূলা ডেস্ক
এই ম্যাচটা নিয়ে বড় ভয় ছিল বাংলাদেশের। তার ওপর আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বরাবরই দুশ্চিন্তার কারণ। এই বোলিংয়ের কারণেই কিনা দেশ সেরা ওপেনার তামিমকে বাদ দিয়ে জল ঘোলা করে বিসিবি!
অথচ আজ ধর্মশালায় আফগানদের কোনও অভিজ্ঞতাই কাজে লাগতে দেননি সাকিব আল হাসান-মেহেদি হাসান মিরাজরা।সাকিবের দূরদর্শী অধিনায়কত্বে ১৫৬ তে ইনিংস থেমে যায় তাদের ইনিংস। সাকিব-মিরাজ মিলে আফগানিস্তানের মেরুদন্ড ভেঙে দেন। দুজনের স্পিন জাদুতে বেকায়দায় নবী-মুজিবরা।যেই রশিদ খান-নবীদের নিয়ে আলাদা করে ভয় ছিল। ব্যাট করতে নেমে অনায়াসে তাদের উড়িয়ে দিয়ে ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের ভেলায় চড়ে বন্দরে পৌঁছে যায় লাল সবুজ দল।
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিব-মিরাজদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।আফগান ব্যাটারদের কেউ ফিফটিও করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। এছাড়া ২২ রান করে করেন ইব্রাহিম জাদরান আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
মেহেদি হাসান মিরাজ ২৫ আর সাকিব ৩০ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। ৩৪ রানে ২ উইকেট শিকার শরিফুল ইসলামের।
১৫৭ তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশও। ২৭ রানের মধ্যে হারিয়ে বসেছিল ২ উইকেট। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে সহজ জয়ের পথ গড়ে দিয়েছেন টাইগারদের।মিরাজকে এখন টপঅর্ডার ব্যাটার বলাই যায়। একবার-দুইবার নয়, যতবারই ওপরের দিকে ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছেন ততবারই নিজেকে জেনুইন ব্যাটার হিসেবে প্রমাণ করছেন এই অলরাউন্ডার।আজ তিন নম্বরে নেমেও সফল মিরাজ।
নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে সহজ জয়ের পথ গড়ে দেন এই অলরাউন্ডার। তৃতীয় উইকেটে ১২৯ বলে তারা গড়েন ৯৭ রানের জুটি।
তবে এর মধ্যে দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। একটি রান নেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হয়ে যান তানজিদ তামিম। ১৩ বলে ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি তখন। দলীয় রান ছিল ১৯।
লিটন দাসের ওপর প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হলেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের ৪র্থ বলে ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। কভার অঞ্চল দিয়ে মারার জন্য শট খেললেন। কিন্তু বল ভেতরের কানায় লেগে গিয়ে হিট করলো স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। দলীয় রান এ সময় ২৭।
এরপর লিটন দাস ফজল হক ফারুকির বলে ইনসাইড এজে হন বোল্ড। ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। পরের গল্পটা মিরাজের। তিনে ব্যাট করতে এসে দুর্দান্ত করেন তিনি। মাঝে একবার এলবিডব্লিউ আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলেও বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির পর মিরাজ আউট হয়েছেন নাভিন উল হকের ওভারে রশিদ খানের লাফিয়ে উঠে নেওয়া দুর্দান্ত এক ক্যাচে। ৫ চারে ৭৩ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। তার বদলে সাকিব এসে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। ১৯ বলে ২ চারে ১৪ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর অবশ্য বিপদ ঘটেনি আর। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন শান্ত। ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়ে ৮৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ধর্মশালায় মঙ্গলবার রয়েছে শক্তিধর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। রুট-বাটলারদের বিপক্ষে জ্বলে ওঠার রসদ বুঝি পেয়েই গেলেন সাকিব-মুশফিকরা।
















Discussion about this post