শিক্ষার আলো ডেস্ক
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেত্রী নাবিলা তাসনিন ঐশী ও প্রিয়া সরকারসহ ৪৫ শিক্ষার্থী ও ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নুর হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত ১৩ সদস্য বিশিষ্ট গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১৬তম সভায় ৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৪৫ শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন ছাত্রী ও ৩৬ জন ছাত্র।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নূরন্নাহার বেগম ছাত্রী হল শাখার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি নাবিলা তাসনিন ঐশীর স্নাতক সম্পন্ন করা সনদ স্থগিত করছে। ওই হলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়া সরকারকে এক বছরে জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাইফুল ইসলাম পলাশকে ৫ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও মির্জা আজম হল শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ইমন, ছাত্রলীগ আহ্বায়ক স্বাধীনের সহযোগী ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন সাবাসহ মোট ৭ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত সৌরভ, মোকাররম হোসেন, মোশারফ হোসেন, আভিমান সরকার, সেবক দাস, মাসুদ রানা, ইতিসার সানি ইমন, ছাত্র হল শাখার সাধারণ সম্পাদক সকলাইনসহ তাদের স্নাতক সম্পন্ন করা সনদপত্র স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে অপরাধে জড়িত অন্য শিক্ষার্থীদের হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার, সিট বাতিল, তিরস্কার ও মুচলেকা প্রদানের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের করা হয়েছে।
Discussion about this post