শিক্ষার আলো ডেস্ক
ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা আইইএলটিএস – এর ৬ সেপ্টেম্বরের ফলাফল স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ফলাফল প্রকাশের আগে পরীক্ষার নিরপেক্ষতা, সততা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের এক ই-মেইলের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
আইইএলটিএস টেস্ট পার্টনারদের পাঠানো ইমেইলে বলা হয়েছে, ফলাফল প্রকাশের আগে নিয়মিতভাবে প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষার ফলাফল আরও বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তাই পরীক্ষার ফলাফল আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, বিষয়টি এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
তদন্ত চলাকালে পরীক্ষার্থী, পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্মীদের প্রতিবেদন, পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ, উত্তরপত্রের বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষার্থীর পরিচয় সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ বিস্তৃত প্রমাণাদি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া, চাইলে পরীক্ষার্থীরাও তাদের নিজস্ব বক্তব্য দিতে পারবেন, তবে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। পাঁচ দিনের মধ্যে প্রেরিত না হলে কোনো বক্তব্য বিবেচনা করা হবে না।
প্রসঙ্গত, যে পরীক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা আইইএলটিএস ইউএসএর মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদেরকে প্রয়োজনীয় তারিখসংক্রান্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আর যারা আইডিপির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র [resultsinvestigation@idp.com](mailto:resultsinvestigation@idp.com) এই ঠিকানায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
আইইএলটিএস ইনভেস্টিগেশন টিম তাদের ইমেইলের শেষাংশে পরীক্ষার্থীদের ধৈর্য ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।
এর আগে, রাজধানীতে ৩৭ বছর বয়সী মো. মামুন খান ও তার সহযোগী পন্না পুনম হালদার ওরফে কেয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা বহুদিন ধরে শিক্ষার্থীদের কাছে ফাঁস হওয়া আইইএলটিএস প্রশ্নপত্র বিক্রি করছিল। এই গ্রেপ্তারের সূত্রপাত হয় ডেইলি সান পত্রিকার এক গোপন অনুসন্ধানের ভিত্তিতে। কয়েক মাস ধরে এই চক্রের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার পর শনিবার পরীক্ষার কিছু ঘণ্টা পরই যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, মামুন ও কেয়া পরীক্ষার আগের রাতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের থাকার ব্যবস্থা করত। এরপর শিক্ষার্থীদের ফাঁস হওয়া প্রশ্নে কোচিং করিয়ে পরীক্ষার দিন বিভিন্ন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হতো। অভিযানে ৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নগদ ও আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। শিক্ষার্থীরা জানায়, এই চক্রের দেওয়া উত্তর মুখস্থ করে পরীক্ষায় গিয়ে তারা কাঙ্ক্ষিত ব্যান্ড স্কোর পেয়েছে, যা আইইএলটিএস পরীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
Discussion about this post