শিক্ষার আলো ডেস্ক
আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাচ্ছেন ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। কাল দুপুর ২টা থেকে শহীদ মিনারে অনশন শুরু করবেন তারা। রোববার থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করা হবে। এরপরেও সরকার যদি দাবি মেনে না নেন, তাহলে পরবর্তীতে আমরণ অনশনের দিকে যাবেন।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধে আজকের মত মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টাকে শিক্ষক নেতা আজিজী ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রজ্ঞাপনটা এমনভাবে করতে হবে যে এখনই ২০ শতাংশের কথা উল্লেখ থাকবে। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের ৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলেন। এই প্রস্তাব শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ১৫ সদস্যের শিক্ষক নেতা। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি।
এছাড়াও ছিলেন অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন, অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আবু তালেব সোহাগ, নুরুল আমিন হেলালী, আবুল বাশার, তোফায়েল সরকার, শান্ত ইসলাম হাবিবুল্লাহ রাজু, মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান মাহিন, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, রবিউল ইসলাম, মো. রকিবুল হাসান রাসেল।
আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজিসহ অন্যরা কান্নায় ভেংগে পড়েন। আলোচনায় শিক্ষাউপদেষ্টা অনড় মনোভাব পোষণ করে ২০% – এ সোজাসাপ্টা না বলে দিয়েছেন বলে জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যকালে শিক্ষক নেতা আজীজি বলেন, রাষ্ট্র যেহেতু ৬ লাখ মানুষের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করে দিতে পারছে না; তাই আমাদের উচিত- রিকশা-সিএনজি চালিয়ে জীবনযাপন করা। এভাবেই আমরা আমাদের সন্তানদের লালন-পালন করব। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে আমরা কৃষি কাজ করব।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি খুবই যৌক্তিক। আমাদের ২০% বাড়ি ভাড়া দেওয়া হোক। কিন্তু সেটা তারা দিতে পারবেন না। তারা আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে বাবা সম্বোধন করেছি, তাকে অনুরোধ করেছি- আমাদের বিষয়টা দেখতে। কিন্তু অপরগতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন- এর বাইরে তিনি কিছু করতে পারবেন না। আমরা বলেছি, এখন অন্তত ১০% বাড়ি ভাড়া দেবেন, পররবর্তী বাজেটে আরও ১০%সহ মোট ২০ শতাংশ করে দেবেন এবং পুরো বিষয়টা স্পষ্টভাবে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু তারা এটাতে রাজি হয়নি।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে গত রোববার থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
Discussion about this post