নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩তম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকের বেতনভাতা শিগগিরই ফিক্সেশনের (নির্ধারণ) ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শিগগিরই সম্পন্ন হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৩তম ধাপে উন্নীত করে উচ্চধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারিত সফটওয়্যার ‘আইবাস++’ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘আইবাস++’ সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ চলমান রয়েছে, যা শিগগিরই সম্পন্ন হবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে ‘আইবাস++’ সফটওয়্যারে বেতন নির্ধারণে সাময়িক অসুবিধার বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত ‘আইবাস++’ আপগ্রেডেশন সম্পন্ন হবে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা যাবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান এ বিষয়টি নিয়ে কতিপয় জামাত-বিএনপিপন্থী শিক্ষক নিজেদের নেতা দাবি করে ফেসবুক ও জামাত মালিকানাধীন পত্রিকায় নানা ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনো কোনো সহকারি শিক্ষক নিজেদের নাম পরিবর্তন করে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছে। নোয়াখালী অঞ্চলের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক নিবন্ধনে দুই সমিতি চালানোসহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের নোতা দাবি করা এসব শিক্ষরা যাতে ১৩তম গ্রেড নিয়ে জলঘোলা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা দেয়ার জন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার ‘আইবাস’-এ কারিগরি জটিলতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উচ্চধাপে নির্ধারণ করা যায়নি।শিক্ষা বিষয়ক অনলাইন পত্রিকায় এ প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েকঘন্টা পরই গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শিগগিরই জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, ১৩তম গ্রেডের নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ করলে আইবাস সফটওয়্যার তার সিস্টেমে ইনপুট নেয়। কিন্তু ১৩তম গ্রেডের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ করলে আইবাসের সিস্টেম কোনো ইনপুট নিচ্ছে না। অথচ নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন কমে যাচ্ছে। এ কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চধাপেই প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক কর্মরত। তাদের ৬০ শতাংশই নারী। জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন তদবির ও দেনদরবার করার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতনে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৩তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এই গ্রেডের সুবিধাপ্রাপ্তি নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। কারণ, চিরায়ত নিয়মে বেতন নিম্ন ধাপে নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন বর্তমানের চেয়ে কমে যাচ্ছিল।














Discussion about this post