নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটিতে দুই চিকিৎসক, চার নার্স, একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন আয়া করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাদের সংস্পর্শে আসা ২৪ জন নার্স ও চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ১০ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন নার্সের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল অনেকটাই করোনা ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে।
এদিকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বিভাগের ইনচার্জ করোনা পজিটিভ হওয়া বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার সার্জারি আপারেশন। তবে সাধারণ ডেলিভারিসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা চলমান রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা।
শনিবার (১৬ মে) রাঙামাটির পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘যারাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাবেন অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের রাঙামাটি-চট্টগ্রাম আসা যাওয়া বন্ধ করতে হবে। তাদের জন্য একটি থাকার জায়গায় ব্যবস্থা করতে হবে। নুমনা পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা করা অথবা সম্ভব হলে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।’
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর খান বলেন, ‘করোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারাই আসছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং বাকিদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু শুরুতে এভাবে চিকিৎসকরা যদি আক্রান্ত হন তাহলে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।’
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, ‘যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নমুনার ফলাফল পাওয়া যায় তাহলে আরও সর্তক হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তবুও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সকলকে আলাদা রাখা রয়েছে। এবং যারাই দায়িত্ব পালন করছেন আরও সতর্কতা সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘রাঙামাটিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি। নমুনার ফলাফল আরও দ্রুত কিভাবে পাওয়া যায় সেই ব্যাপারে কাজও চলছে। যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের কোয়ারেন্টিনের নিশ্চিত করা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কম হতো।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে কেউ যাতে রাঙামাটিতে প্রবেশ করতে না পারে এবং কেউ বাহির হতে না পারে সেই জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
Discussion about this post