বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও চলছে। এটি প্রতিরোধে প্রতিনিয়তই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত হাত ধোয়া থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার, মাস্ক ব্যবহারের কথা বলছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনেক ধরনের করোনাভাইরাসের প্রথম ও প্রধান আশ্রয়স্থল মুখের ভিতরভাগ। এ কারণে মুখে চাপা দিয়ে হাঁচি-কাশির অভ্যাস করা কিংবা কথা বলার সময় দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। এজন্য করোনা প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের যত্ন নেয়াটাও জরুরি। এ ব্যাপারে কিছু বিষয় অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-
১. নিয়ম করে দু’বার ব্রাশ করা উচিত। ১৫ দিন পর পর ব্রাশ বদলে নিতে পারলে ভালো হয়।
২. বাড়ির বাইরে বের হলে ফেরার পর গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করে নেওয়া উচিত। এ ছাড়া দিনে ৩ থেকে ৪ বার লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে ভালো হয়।
৩. দাঁতে কিছু আটকে গেলে ফ্লস দিয়ে পরিষ্কার করার অভ্যাস করুন।
৪. এ সময় দিনে দু’বার মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো হয়। প্রয়োজন হলে ডেন্টাল সার্জনকে ফোন করে পরামর্শ নিতে পারেন।
৫. অনেক সময় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ হিসেবে মুখের ভিতরে, জিভে বা ঠোঁটে আলসার হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যা হলেই করোনা হবে এমন কোনো কথা নেই। এ ব্যাপারে ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
৬. জিভের স্বাদ চলে গেলে ও গন্ধের বোধ কমে গেলে সতর্ক হোন। তবে আগেই আতঙ্কিত না হয়ে ফোনে পরিচিত কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. মুখে বা দাঁতে হাত কিংবা টুথপিক দিয়ে অযথা খোঁচাখুচি করবেন না।
৮. দাঁত দিয়ে নখ কাটবেন না। শিশুদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে।
৯. চকোলেট, চিপস, বেশি চিনি বা মিষ্টি দেওয়া খাবার খাবেন না। মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত পেয়ারা, লেবু, কলা, আপেল জাতীয় ফল খান । এছাড়া দাঁত ও মুখের সুরক্ষায় নিয়মিত পর্যাপ্ত শাকসব্জি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খান।
১০. যে কোনও খাবার খাওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করে নিন।
১১. পান, তামাক গ্রহণের অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
১২. পরিষ্কার জায়গায় ব্রাশ রাখার অভ্যাস করুন। সবার ব্রাশ একসঙ্গে না রেখে আলাদা আলাদা রাখতে পারলে ভালো। ব্রাশে ক্যাপ লাগিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হয়। প্রতিবার ব্যবহারের আগে ব্রাশ ধুয়ে নিন।
Discussion about this post