শিক্ষার আলো ডেস্ক
দ্য জনস হপকিনস সেন্টার ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইনিং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে । এবারের প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে অংশ নেয় দুই শর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৪০টি দল।এই প্রতিযোগিতায় প্রতিবছরই বুয়েটের বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য-চিকিৎসা শিক্ষা জগতের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক জনসন অ্যান্ড জনসন মেডিকেল প্রযুক্তি জগতের অন্যতম নামী প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিযোগিতায় বাজিমাৎ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ! ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগে হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড, ক্যালটেকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হারিয়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি দল। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর দলটির নাম নিওস্ক্রিনিক্স।
নিওস্ক্রিনিক্সের পাঁচ সদস্য ফাহমিদা সুলতানা, এইচ এম শাদমান, সাদাতুল ইসলাম, মো. হাসনাইন আদিল ও পৃথু আনান।
প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে নিওস্ক্রিনিক্স। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন নারী নিজেই স্তন ক্যানসারের লক্ষণ বা সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পারবেন।
জানুয়ারিতে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পর ১০ মার্চ প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হয়। ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগের ছয় ফাইনালিস্টের মধ্যে নিওস্ক্রিনিক্সের সঙ্গে বুয়েটের অন্য একটি দলও ছিল। ১২ এপ্রিল অনলাইনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই জানানো হয় বিজয়ীদের নাম।
পুরস্কার হিসেবে নিওস্ক্রিনিক্স পেয়েছে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ছয় লাখ টাকা। নিজেদের পড়াশোনা ও গবেষণায় এই অর্থ কাজে লাগাতে চান তাঁরা। অর্জনের পেছনে দলের বাইরের কয়েকজনের অবদান আছে বলে জানালেন ফাহমিদা। পুরো কাজটি তত্ত্বাবধান করেছেন বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহেল রহমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম ও রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রিবাতুল ইসলাম তথ্য সংগ্রহে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর অবস্থান চিন্তা করেই ভবিষ্যতে প্রযুক্তিটি নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি। আপাতত ছোট পরিসরে হলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতন করতে চান তাঁরা। এরপর নিজেদের প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে চান সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। সুত্র ও ছবি – প্রথম আলো
Discussion about this post