শিক্ষার আলো ডেস্ক
আগামী শনিবার (১৭ মে) পূর্বঘোষিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পুনঃভর্তি (শুধু এমসিকিউ) পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিকের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা শুধু এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এদিন বিকেলে ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই পুনঃভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ (১৫মে) বিকেলে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী শনিবার ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ)-এর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে পুনঃভর্তি পরীক্ষা (শুধু এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের যারা উপস্থিত থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল কেবল তারাই এদিনের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদেরকে নতুন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। নতুন সংগৃহীত পুনঃপ্রবেশপত্র ব্যতীত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নতুন পুনঃপ্রবেশপত্রে রোল নম্বর অপরিবর্তিত থাকবে। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের শেষ সময় আগামী শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত।
জানা যায়, প্রশ্নপত্রে ত্রুটি থাকার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় এ ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৬ এপ্রিল ঢাবির অনলাইনে ভর্তি কমিটির বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির বিশেষ সভার সিদ্ধান্তক্রমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষা আগামী ১৭ মে বিকেলে ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। শুধু উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের বিষয়টিতে আদালতের নির্দেশ রয়েছে।’
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তিতে এমসিকিউ পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের আর লিখিত পরীক্ষা হয় ৪০ নম্বরে। তবে প্রশ্নপত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশে ১২টি প্রশ্নে সেটে গরমিল দেখা যায়। পরে এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী সমাধান বের করতে পারেনি প্রশাসন। এর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করলে হাইকোর্টে রিট করেন ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ।
Discussion about this post