ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একাডেমিক ও হল পর্যায়ে সকল ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি সবগুলো হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
ছাত্রদলের কমিটির প্রতিবাদে মধ্যরাতে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে কমিটি স্থগিত অথবা পদপ্রাপ্তদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুহসীন হল থেকে মিছিল নিয়ে মাস্টার দা সূর্যসেন হল হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে যান তারা। এর মধ্যে রোকেয়া এবং শামসুন নাহার হলের ছাত্রীরা গেটের তালা ভেঙে মিছিলে যোগ দেন।
আন্দোলনকারীরা ‘জুলাইয়ের রক্ত- বৃথা যেতে দিব না’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর- হল পলিটিক্স নো মোর’, ‘গেস্টরুমের বিরুদ্ধে- ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘গণরুমের বিরুদ্ধে- ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হলে হলে রাজনীতি- চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এর আগে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি অবিলম্বে বিলুপ্ত করার দাবি জানান। তারা হল প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন– রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে হল প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে রোকেয়া হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় তালা ভেঙে রাস্তায় নামবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা হলের গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে এসে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, , ‘ জুলাইয়ের অঙ্গীকার হলগুলো রাজনীতিমুক্ত রাখা। কিন্তু এখন হলগুলোতে গুপ্ত আর সুপ্ত উভয় রাজনীতি চলছে। অনতিবিলম্বে আমরা হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত দেখতে চাই। যারা হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে চান তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা ছাত্রলীগের পরিণতি বরণ করতে না চাইলে হলে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর চেষ্টা করবেন না।’
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
Discussion about this post