শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তের আদেশ শিগগির জারি হবে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেছেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির বিষয়টি আপনারা সবাই জানেন। আমি এখানে (সচিব হিসেবে) আসার পর থেকে তাদের এমপিওভুক্তির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আশা করি, এমপিওভুক্তির আদেশ শিগগির হয়ে যাবে।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়স্থ বিভাগের সভাকক্ষে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব)-এর নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, শরীফুল আলম সুমন, মীর মোহাম্মদ জসিমসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ি প্রধান বেতন পাবেন ১০ম গ্রেডে। আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নূরানী বিষয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০ তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি মাদ্রাসা জন্য জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালাটি উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চলে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে আমরা নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) এমপিওভুক্ত দেবো।
তিনি বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে আমরা এমপিওভুক্ত দিতে চাই। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান ২০০৬ সালের পূর্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিন্তু আগের সরকার বৈষমমূলকভাবে তাদের এমপিও দেয়নি, সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এই অর্থবছরে আশা করি, এটা পারবো। ২০২২ সালের পর থেকে নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।
Discussion about this post