শিক্ষার আলো ডেস্ক
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত আমরণ অনশন চলছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। এরই মধ্যে ৪ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মত আমরণ অনশন চলছে হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে দ্বিতীয় দিনে গড়া ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
অসুস্থ হওয়া ৪ শিক্ষার্থী হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের জাহিদ হাসান জয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম মাহিদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুম্মানুল ইসলাম রাজ এবং গণিত বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন। তাদেরকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরমান হোসেনকে আজ বেলা পৌনে ১২ টায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমরণে বসার ২৪ ঘন্টা পার হলেও ইউজিসি কিংবা সরকার থেকে তাদের দাবি আদায়ে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সরকার একটি কমিটি করলেও ১৭দিনেও এ বিষয়ে একটি মিটিং করতে পারিনি। এজন্য ইউজিসি, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা মনে করছেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসায় শনিবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের নিজ অফিসে অবস্থান করেন ভিসি ডক্টর শওকাত আলী। তিনি এখন পর্যন্ত রাতে ৫ দফায় শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন স্থলে পাশে বসে অনশন ভাঙার অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা তা মানেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শওকাত আলী বেলা ১২ টায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বসে জানান, বারবার সরকারের উচ্চ মহলে তিনি যোগাযোগ করছেন। যেহেতু ছাত্র সংসদ আইনটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নেই, সে কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে একটি ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দশ দিনের মধ্যেই সেই কমিটির রিপোর্ট গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই তিনি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। তিনি জানান, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অফিস ছেড়ে যাবেন না বলেও জানান তিনি।
এদিকে অনশনে সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, শিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠন।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর গেটে নয়জন শিক্ষার্থী আনশনে বসেন। তারা হলেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদ ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী কায়সার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নয়ন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রুম্মানুল ইসলাম রাজ, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর, গণিত বিভাগের আরমান ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিবলি সাদিক।
Discussion about this post