শিক্ষার আলো ডেস্ক
অবশেষে অনুমোদন পেল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৮ সালে শুরু হলেও এত বছরে নিজস্ব ক্যাম্পাস পায়নি দেশের ৪০তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্দেশে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও বারবার ফেরত পাঠানো হয়।
গত রোববার (১৭ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়য়েছে।
আরও পড়ুন-শিক্ষার্থীদের দিয়ে উত্তরপত্র ভরাট অভিযোগে পরীক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা
একনেকের সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ৬ হাজার ৫০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৫টি, সংশোধিত প্রকল্প ২টি ও ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩টি প্রকল্প।
অনুমোদিত ১০টি প্রকল্পগুলো হলো-
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘বাপবিবো’র বিদ্যমান শিল্পসমৃদ্ধ এলাকার ৩৩/১১ কেভি আউটডোর উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন’ প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লি. (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৫টি নির্ধারিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিলেট,বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুর) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (জোন-সি) প্রকল্প, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ২টি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনবল ওয়াটার সাপ্লাই (তৃতীয় সংশোধিত)’ ও ‘বান্দরবান পৌরসভা এবং বান্দরবান জেলার ৩টি উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্প।
Discussion about this post