শিক্ষার আলো ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ ৭ দফা দাবিতে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু করে কাটা পাহাড় রোড হয়ে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি লিখে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন এবং স্লোগান দেন ‘১ ২ ৩ ৪, প্রক্টর তুই গদি ছাড়’; ‘যেই প্রক্টর আমার না, সেই প্রক্টর মানি ন ‘; ‘কোরবান তুই গদি ছাড়, এই মুহূর্তে গদি ছাড়’; ‘আমার ভাই আইসিইউতে, প্রশাসন নিয়োগ বোর্ডে’; ‘যেই প্রক্টর দালালি করে, সেই প্রক্টর আমার না’; ‘দালালের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’।
বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের কাছে নিম্নলিখিত ৭ দফা দাবি পেশ করেন:
- আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা: সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
- নিরাপত্তাহীন শিক্ষার্থীদের ভ্রাম্যমাণ আবাসন ও মালামাল উদ্ধারের উদ্যোগ: ২ নম্বর গেটের আশেপাশে থাকা অনিরাপদ শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প আবাসন এবং তাদের মালামাল উদ্ধারের ব্যবস্থা করা।
- চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- সুষ্ঠু তদন্তে অপরাধীদের বিচার ও নিরপরাধ এলাকাবাসীর হয়রানি বন্ধ: নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী শিক্ষার্থীদের ও স্থানীয়দের বিচার এবং নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করা।
- অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও নিয়মিত বৈঠক: প্রশাসন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন এবং নিয়মিত সভা করে সমস্যার সমাধান করা।
- সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস রোডম্যাপ প্রকাশ ও এর বাস্তবায়ন: নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ও ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ ও তার বাস্তবায়ন।
- প্রক্টোরিয়াল বডির প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ: বর্তমান প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এই দাবিগুলো মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
Discussion about this post