শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবি দাওয়া যাচাই করতে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রকৌশল পেশায় বিসিএস ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে গঠিত কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, প্রকৌশলে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের তিন দফা ও ডিপ্লোমাধারীদের ৭ দফা দাবি পর্যালোচনা করতে ইনস্টিটিউটের একজন, শিক্ষক একজন ও আন্দোলনকারীদের একজন মোট তিনজন করে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আনতে তারা কাজ করবেন। তাদের সুপারিশ না আসা পর্যন্ত জনগণের ভোগান্তি করে কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি কেউ দেবেন না।
তিনি বলেন, প্রকৌশল পেশায় নিযুক্ত বিএসসি ডিগ্রিধারীদের তিন দফা এবং ডিপ্লোমাধারীদের সাত দফা দাবি পর্যালোচনার জন্য গঠিত এই কমিটিতে থাকবেন ইনস্টিটিউটের একজন প্রতিনিধি, একজন শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের একজন করে— উভয় পক্ষ থেকে মোট ছয়জন। তারা উভয় পক্ষের দাবি-দাওয়ায় সমঝোতার পথ খুঁজবেন।
আরও পড়ুনঃছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
উপদেষ্টা আরও বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপাধি নামের আগে বা পরে ব্যবহার করা হবে কি না, কিংবা কোনো উপাধিই ব্যবহার না করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনায় এসেছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত মত দেওয়ার আগে কমিটি তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবে।”
তিনি আরও জানান, কমিটির সুপারিশের আগে কোনো ধরনের আন্দোলন বা কর্মসূচির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রশাসন সচিবের নেতৃত্বে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “আর কতদিন বিদেশিরা এসে আমাদের দেশে অবকাঠামো নির্মাণ করবেন? আমাদের দেশের প্রকৌশলীদের যোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা রয়েছে। তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ডিগ্রিধারীদের আনুপাতিক হারে নিয়োগ নিশ্চিত করার বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।”
Discussion about this post