শিক্ষার আলো ডেস্ক
পোষ্য কোটা ইস্যুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। কোটা পুনর্বহালের দাবিতে অনশনও করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে দুই দফা অবরুদ্ধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের বারান্দায় এমন ঘটনা ঘটে।এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ সময় কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক ও উপ-উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়।এই ধস্তাধস্তিতে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন।
পরে উপ-উপাচার্য ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় সেখানে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভর্তি কমিটির সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় (পোষ্য কোটা) ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃরাকসু নির্বাচন: ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় ২০০০ পুলিশ
এর পর থেকেই বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের ঘোষণার পরপরই উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলমান ছিল। নতুন বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জোহা চত্বরে এক সমাবেশ করেন তারা। এক ঘণ্টার বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম কাফনের কাপড় পরে এককভাবে আমরণ অনশনে বসেন। পরে আরও আটজন শিক্ষার্থী একাত্মতা প্রকাশ করে অনশনে যোগ দেন। তারা হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সজিবুর রহমান, সমাজকর্ম বিভাগের আরিফ আলভি, আবু রাহাদ ও সৈয়দ ইসপাহানী, ফলিত গণিত বিভাগের তৌফিকুল ইসলাম, আরবি বিভাগের রমজানুল মোবারক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নাজমুল হক আশিক এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রেদোয়ান আহমেদ রিফাত।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘পোষ্য কোটার বিষয় তো আমার একার কোনো সিদ্ধান্ত না। প্রশাসনের সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আমাকে বাসায় যেতে দেবে না, খেতে দেবে না—এমন আন্দোলন আমি কখনো দেখিনি। এটা কী ধরনের আন্দোলন?’
Discussion about this post