শিক্ষার আলো ডেস্ক
এমপিওভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে অনশন কর্ম সূচী পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ তাদের সাথে আলাপ করছেন।
বাংলাদেশ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষদের সভাপত মো. জমির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর বেতন ছাড়াই আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যখন স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তখন জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে।২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।
এই শিক্ষকনেতা আরও বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বাধ্য হয়ে আমরা আজ সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে অনশনে বসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করব।’’
জানা গেছে, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছিল। তখন প্রতিশ্রুতি ছিল পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের। তবে আগের সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এজন্য জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
Discussion about this post