শিক্ষার আলো ডেস্ক
পুলিশের হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার থেকেই লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী শিক্ষক-কর্মচারীরা।
রবিবার (১২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি।
তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ স্বরূপ আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে আন্দেোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে।আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে দাবি আদায়ে সকাল ৯টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেন কয়েক হাজার শিক্ষক। এক পর্যায়ে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাদের সরিয়ে দিতে দুপুর পৌনে ২টার দিকে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। এক পর্যায়ে তাদের ছাত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি রঙিন পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
আরও পড়ুনঃ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারীর অবস্থান
বিক্ষোভরত শিক্ষকরা বলেন, অনার্স, মাস্টার্স পাশ শিক্ষকরা মাত্র ২০% বাড়িভাড়া চাইলেই হাসিনা স্বৈরাচারের মতো পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান দিয়ে অত্যাচার চালাবে,,, এ কেমন দ্বিমুখী আইন রাষ্টের।
আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল দাবি, শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের জন্য ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, এক হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করা।
এর আগে রবিবার (১২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে এ দাবি মানা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করা না হলে তারা ফিরবেন না। এর আগে অনেকবার আশ্বাস দিলেও মানা হয়নি। এবার তারা প্রজ্ঞাপন নিয়েই ফিরতে চান।
Discussion about this post