শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে টানা সাত দিন ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করেছে তাদের সংগঠন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট।নেতারা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার ছাড়বেন না।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, এক হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে গত রবিবার থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
গতকাল শুক্রবার আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে তারা অনশন শুরু করেন। অনশনস্থলে শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরবেন না তারা। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই— ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দিতে হবে।েৎ
আরও পড়ুনঃশহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচী দিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, লাগাতার ক্লাস বর্জন
গত বৃহস্পতিবার এক আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, বিগত সময়ে দীপু মনী এবং নওফেল যে পথে হেঁটেছেন, ঠিক এই পথেই আবরার সাহেব হাঁটা শুরু করেছেন। কথা বলার প্রয়োজন হলে শহীদ মিনারে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে করবেন, কিন্তু আপনি তাদের সঙ্গে কথা না বলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতার সঙ্গে আগে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের নতুন কর্মসূচি হলো ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান অব্যাহত থাকবে এবং শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে অনশন শুরু হবে। রোববার থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করা হবে। এরপরও যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, আমরা আমরণ অনশনে যাব। যদি সরকারের কোনো দয়া না হয় বা সাড়া না আসে, তাহলে আমরা এখানেই আমরণ অনশনে মৃত্যুবরণ করব।’
সরকারের অবস্থান বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া তারা দিতে পারবে এবং সেটি ন্যূনতম দুই হাজার টাকা থাকবে। এখন টাকা নেই, এর থেকে বেশি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।এটা শিক্ষক-কর্মচারীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা বলেছেন, এখন ১০ শতাংশ দিতে হবে, সামনের বছর ১০ শতাংশ দিতে হবে।’
Discussion about this post