শিক্ষার আলো ডেস্ক
সাভারে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুই ইউনিভার্সিটির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকা।
এ ঘটনায় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করে উদ্বেগ জানিয়েছে। তারা লেখেন, ‘এটা কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের আচরণ হতে পারে না। প্রতিবেশী দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঝগড়া হতে পারে, তর্ক হতে পারে, বিবাদ হতে পারে! তাই বলে এভাবে হাজারে হাজারে গিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ধ্বংস করা, সম্পদ ধ্বংস করা, নিজের ভাই-বোনদের মেরে আহত করা কোনোভাবেই কাম্য না! এটা অসভ্যতা, এটা উগ্রতা, এটা হিংস্রতা! কী করতেছো তোমরা! নিজেদের রক্ত নিজেরাই খাচ্ছো?’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই দুই ইউনিভার্সিটিতেই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা। আতঙ্কে হল ছেড়ে যাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।
সকালের দিকে সিটি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে যান ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।
সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অফিসের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে গেছে। ক্যান্টিনসহ বহু স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ১১ জন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ড্যাফোডিলের ভিসি স্বশরীরে এসে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনিকভাবে সমাধান চাই, আপাতত মামলার পথে যেতে চাই না। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
















Discussion about this post