শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাড়ি ভাড়া ইস্যুতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের সুফল পেলেন শিক্ষকরা। ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত চিঠি চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কয়েকটি শর্তে নভেম্বর থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা কয়েকটি শর্তে পরিপালন সাপেক্ষে ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) এবং ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে এ ৭ দশমিক ৫ শতাংশের অতিরিক্ত আরো ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থাৎ মূল বেতনের সর্বমোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হলো।
শর্তগুলো হলো- পরবর্তী বেতনস্কেলে অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে; এমপিওভুক্ত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’; ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার থেকে সময়ে সময়ে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন, আদেশ, পরিপত্র ও নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগের শর্তগুলো পালন করতে হবে; বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা কোন বকেয়া প্রাপ্য হবেন না; ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে সব আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে এবং এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোন অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ এ অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন।
টানা ১০ দিন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের মূল বেতনের ওপর ১৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্মত হয়। গত ২১ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বাড়িভাড়া ভাতা কার্যকর করতে চিঠি দেওয়া হলো। ফলে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে আর কোনো সংশয় রইলো না।
















Discussion about this post