ক্যারিয়ার ডেস্ক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এতে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষক পদে কোনো নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।নতুন প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিধিমালার তফসিল–১ সংশোধন করা হয়েছে। এতে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।
বিতর্কের মুখে পদ দুটি বাতিলসহ সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তিনি বলেন, রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চারটি ক্যাটাগরির পদ ছিল। তবে সংশোধনের পর এখন দুইটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। কিন্তু সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে। আগের বিধিমালায় বলা ছিল— মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা এবং বাকি ৮০ শতাংশ পদে অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু এটি ভুলভাবে বোঝার সুযোগ ছিল। বাস্তবে ওই ৮০ শতাংশ পদ ‘কমন’, অর্থাৎ বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের স্নাতকরা আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব তৈরি করেছিল। তার ভিত্তিতে গত বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই দুই বিষয়ে ৫ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সংগীতের জন্য ২ হাজার ৫৮৩ জন এবং শারীরিক শিক্ষার ২ হাজার ৫৮৩ জন।
এরপর গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’–এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর তফসিল-১ এ শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, বিধিমালা প্রকাশের পর থেকেই কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠন সংগীত শিক্ষক পদটি সৃষ্টির বিষয়ে সমালোচনা শুরু করে। তাই শেষ পর্যন্ত সরকার পদ দুটি বাতিল করল।
	    	
		    















Discussion about this post