নিউজ ডেস্ক
রাজধানীকে নিরাপদ করার জন্য সম্পূর্ণ শহরকেই ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসছে পুলিশ। এর মাধ্যমে উন্নত দেশের আদলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে। সরকারের প্রস্তাবিত সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় ডেভেলপমেন্ট অব ঢাকা সিটি ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) আকারে সেটা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। গত বছর এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। এর আগে ঢাকা নগরে এলাকাভিত্তিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও তার সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যত বেশি ক্যামেরা বসানো হবে ততটাই নিরাপদ হবে শহর।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেফ সিটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার ছয় হাজার কিলোমিটার ছোট-বড় রাস্তার পুরোটাই কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন চলাচলের ত্রুটি ধরতে কাজ করবে এই ক্যামেরা পদ্ধতি।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘শিগগিরই সেফ সিটি প্রকল্প শুরু হবে। প্রথম অবস্থায় ঢাকায় যদি সফল হই তবে চট্টগ্রাম এবং অন্য সিটিতে প্রকল্পটি নিতে পারব। শিগগিরই আমরা পরিকল্পনা কমিশনে প্রজেক্ট পাঠাব। আশা করি, শিগগিরই এটা পাস হবে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, করোনার কারণে দেরি হলেও শিগগিরই প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে ডিপিপি আকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এই প্রকল্পে ঢাকার দুই সিটির প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার সড়কে বসবে সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলো হবে জার্মানির উন্নত প্রযুক্তির, যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করে অপরাধীকে শনাক্ত করবে।
ক্যামেরাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের আইসিটি শাখাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। একটি গাড়ির নাম্বার প্লেট ক্যামেরার সীমানায় এলেই গাড়িটি শনাক্ত হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মামলা হয়ে যাবে। অপরাধ করলে গাড়ি শনাক্তের পর দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা বার্তা পাবেন।
Discussion about this post