ইতালিতে প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক ও নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার দু’জন চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন।
এদের একজন ‘জিনো ফাসোলি (৭৩)। তিনি ৪ বছর আগে চিকিৎসক হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে নিজ ইচ্ছায় লোম্বার্দিয়ার উপশহর ব্রেসিয়ার একটি হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার তিনি প্রাণ হারান। এছাড়া ড. লিওনার্দো মার্কি যিনি ‘ক্রেমোনা’ অঞ্চলের কাজা দি কুরা সান কামিল্লো হাসপাতালের ডিরেক্টর। সোমবার তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ইতালি। করোনায় ইতালির উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত লোম্বাদিয়ায় উপশহরগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সোমবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
চীনের চেয়ে ইতালিতে চিকিৎসাকর্মী আক্রান্তের হার দ্বিগুন। এটি বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে। সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এরপরও প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন সেবাদানকারীরা।
এদিকে সোমবার থেকে ইতালীর সর্বোচ্চ আক্রান্ত অঞ্চল লোম্বার্দিয়ায় আঞ্চলিক উপশহরগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, লোম্বাদিয়ার ১২টি উপশহরের মধ্যে এক উপশহর থেকে আরেক উপশহরে যাতায়াত করা যাবে না।
ইতালির প্রায় ৪৭ শতাংশ আক্রান্ত রোগী বৃহত্তর লোম্বার্দিয়া অঞ্চলের। এ কারণে সরকার এ অঞ্চলটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে করোনার প্রকোপ হ্রাসের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
Discussion about this post