প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে গোটা বিশ্বই আজ টালমাতাল। প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের, আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য লোক। মহামারির কারণে অবরুদ্ধ (লকডাউন) প্রায় সব দেশই। সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বাইরে বের হওয়ায় রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত কোনো এলাকা থেকেই পুরোপুরি লকডাউন তুলে নেয়া উচিত নয়।
সম্প্রতি চীনে করোনা সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত এবং দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পরপরই ব্যাপক অবরোধ-নিষেধাজ্ঞার ফলে মাত্র তিনমাসের মধ্যেই মহামারির প্রথম ধাক্কা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে তারা। একারণে গত বুধবার টানা ৭৬ দিন পর তুলে নেয়া হয়েছে উহান শহরের লকডাউন নির্দেশনা।
ওই গবেষণায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেয়া ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের প্রফেসর জোসেফ টি উ বলেন, যদিও এই ব্যবস্থাগুলো কোভিড -১৯ সংক্রমণের হার একেবারে নিম্নস্তরে নিয়ে এসেছে; তবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানা পরিচালনা, স্কুলের কার্যক্রম আবারও শুরু হলে সামাজিক সংস্পর্শ বাড়ায় সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। বিশেষ করে সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ায় বহিরাগতদের মাধ্যমে এর ঝুঁকি আরও বাড়বে।
তিনি কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো ধীরে ধীরে তুলে নেয়া এবং সংক্রমণের বিষয়টি গভীরভাবে নজরদারিতে না রাখলে মহামারির আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এ গবেষক বলেন, যদিও শারীরিক দূরত্ব ও আচরণগত পরিবর্তনের মতো নীতিগুলো বেশ কিছু সময় ধরে জারি রয়েছে। তবে কার্যকর প্রতিষেধক সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু থেকে বিরত থাকাই সেরা উপায় হতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
Discussion about this post