নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ নভেম্বর থেকে দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত দেশে এক কোটি ৭২ লাখ ৭৪ হাজার ১৯৬ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে। তবে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে এখনও বিশাল পার্থক্য রয়ে গেছে, যদিও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজে বেশি নজর দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের টিকায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে, এ কার্যক্রম শিগগিরই আরও জোরদার করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, প্রথম ডোজ পাওয়া এক কোটি ৭২ লাখ ৭৪ হাজার ১৯৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৪ জনকে। অর্থাৎ প্রথম ডোজ পাওয়াদের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পায়নি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩২২ জন শিক্ষার্থী।
গত এক সপ্তাহের টিকা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকায় তেমন সাড়া নেই বললেই চলে। গত একদিনে (১ এপ্রিল) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছে এক হাজার ১৬৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৫ হাজার ২৬২ জন। এর আগে গত ৩১ মার্চ প্রথম ডোজ টিকা নেয় আট হাজার ৩৪৭ জন শিক্ষার্থী, আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিল এক লাখ ৫৪ হাজার ৭০৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৯৬ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ২৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯০ জন মানুষ। আর তাদের মধ্য থেকে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন সর্বমোট ৯৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩২ জন।
গতকাল (১ এপ্রিল) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৪৩ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার ১৯০ জনকে এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২১১ জন। তাদের দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
এদিকে, দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৫৬৩ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post