নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের খাবারে শামুক ও পোকামাকড় পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই । এ ছাড়া হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগও উঠেছে।
এ অবস্থায় আবাসিক হলগুলো পরিদর্শন করেছেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান যাচাই করেন। একইসঙ্গে হল শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
সোমবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে দশটা থেকে অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল হল পরিদর্শন শুরু করেন। হলগুলোর ডাইনিংয়ে দেওয়া খাবারের মান যাচাইয়ের পাশাপাশি এর মান ভালো করারও নির্দেশ দেন।
হলের ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার আছে কিনা তা দেখেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি। এ ছাড়া হলের পরিবেশগত অবস্থা পরিদর্শন করেন। তিনি হলের রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও গবেষণা করে। তাদের এ সময় পুষ্টিকর ও ভালো খাবার প্রযোজন। যদি কোনো হলে যদি পচা-বাসি খাবার পাওয়া যায় অথবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে জরিমানা করা হবে। এছাড়া সেই হলের ডাইনিং পরিচালককে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে।
হল পরিদর্শনে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ভূমি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক মাহবুবা সিদ্দীকা, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মাজেদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
জানা গেছে, আবাসিক হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি হলের ডাইনিংয়ের খাবারে চুল, টিকটিকি, শামুক, চ্যালা, মাছিসহ অনেক পোকামাকড় পাওয়ার অভিযোগ করেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিকারেরও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে খাবারের মান বৃদ্ধি ও মূল্য কমানোর দাবিতে সোমবার (২৩ মে) ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্র মৈত্রী। মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কাছে সাতটি দাবিসহ স্মারকলিপি প্রদান করে ছাত্র মৈত্রীর নেতাকর্মীরা।
Discussion about this post