বোরো মৌসুমে ধান কাটতে কৃষক ও দিনমজুরদের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করে এই সমস্যা যাতে দেশে না হয় সেজন্য সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনে শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ আহবান জানান।
সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সবদেশে ব্যাপক প্রাণহানি ও পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখার সময় সাবেক সহকর্মী ও দলীয় নেতার স্মৃতিচারণার পর করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় দেশ ও বিশ্বের খাদ্য পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে দেশে বোরো মৌসুমের সূচনাকে স্বাগত জানান তিনি। সারা দেশে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন ধানকাটার মৌসুম শুরু হয়েছে, দিনমজুর যারা এখন কাজ পাচ্ছেন না তাদের জন্য এটা একটা সুযোগ। তারা এখন ধান কাটতে যেতে পারেন। কেবল দিনমজুর নয় সকলেই যাওয়া উচিত। এখানে কেবল উঁচু-নিচু নয়, কাজ করা সকলের দায়িত্ব।
যেসব এলাকায় ধানকাটার শ্রমিকের সংকট আছে সেসব এলাকার ছাত্র-শিক্ষক সকলকে এ কাজে নেমে পড়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষক বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আমি বলবো, তারা যেন একটু এগিয়ে আসে। সকলে মিলে ধানটা যদি কাটতে পারি আমরা ভালোভাবে চলতে পারবো। আমাদের খাবারের কোনও অভাব হবে না।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে যারা যেখানে ধান কাটতে যেতে চায় তাদের সেখানে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব থেকে ইতিমধ্যে খাদ্য দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু, আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা যে যা পারি তরিতরকারির ব্যবস্থা করতে হবে। টবে হোক, ছাদে হোক, মাটিতে হোক উৎপাদন করতে পারি আমরা। নিজেরা চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশকে দিতে পারি। এজন্য সমাজের সবস্তরের মানুষকে আমি জমি-জায়গা ফেলে না রেখে সব জায়গায় ফসল ও সবজি উৎপাদনের আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনটি শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা পর মাগরিবের নামাজের আগেই শেষ হয়ে যায়। এটিই হচ্ছে জাতীয় সংসদের ইতিহাসের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন।
Discussion about this post