করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে যাচ্ছে। এর মধ্যেই হয়তো স্বাভাবিক কাজকর্মও শুরু হবে। তার মানে হচ্ছে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে। বিষেজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত সব সময়ের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস গড়তে হবে। তাহলে হয়তো অন্য অনেক রোগের মতো করোনার সঙ্গেও খাপ খাওয়ানো মানুষের জন্য সহজ হবে। যেমন-
১. করোনা থেকে বাঁচতে হাত ধোয়ার অভ্যাসটি ধরে রাখতে হবে। গণপরিবহনে উঠলে, ভিড় কাটিয়ে বের হলে, লিফটের বোতাম-দরজার হাতল বা সিঁড়ির রেলিং ধরলে, অনেকে ব্যবহার করে এমন কিছুতে হাত দিলে, টাকা দেওয়া-নেওয়া করলে সেই হাত নাকে-মুখে-চোখে বা অন্য কোথাও লাগার আগেই ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। খাওয়ার আগে, টয়লেট থেকে এসে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার আগে সঙ্গে ছোট একটা সাবান ও ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
২. সাধারণ মানুষের গ্লাভস পরার দরকার নেই। নিয়ম মেনে না পরলে উল্টো বিপদের আশঙ্কা বেশি। এ কারণে এর চেয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া অনেক নিরাপদ।
৩. রাস্তায় বের হলে এখনকার মতো সবসময় মাস্ক ব্যবহার করবেন। অফিসেও পরে থাকবেন। কাপড়ের ট্রিপল লেয়ার মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। তবে গরমে সমস্যা বোধ করলে ডাবল লেয়ারের বড় আকারের মাস্ক ব্যবহার করুন। বাড়ি ফিরে সাবান পানি দিয়ে মাস্ক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
৪. মাস্ক পরলেও অন্যদের সঙ্গে ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। না হলে কম পক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব রাখা জরুরি।
৫. চোখ নিরাপদ রাখতে চশমা না হয় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। কারণ চোখ দিয়েও জীবাণু ঢুকতে পারে।
৬. বড় চুল হলে চুল ভালো করে বেঁধে স্কার্ফ বা ওড়নায় মাথা ঢেকে নেবেন। কারণ গণপরিবহন ব্যবহার করলে খোলা চুল অন্যের নাকে-মুখে উড়ে লাগতে পারে। সেই চুল আপনার নাকে-মুখে লাগলে বিপদ হতে পারে।
৭. বাইরে বের হলে ধোয়া যাবে নিয়মিত এমন জুতা ব্যবহার করুন।
৮. এ সময় কোনো ধরনের অলংকার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ ধাতুর উপর প্রায় পাঁচ দিন থেকে যেতে পারে করোনার জীবাণু। এখন ঘড়ি ব্যবহারও ঠিক নয়।
৯. অফিসে নিজের জন্য আলাদা কাপ, প্লেট রেখে দিন। খাওয়ার আগে সেগুলো সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
১০. বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। বাসা থেকে নিয়মিত খাবার নিয়ে যান।
১১. এ সময় রাস্তার পাশের কোনো দোকান থেকে কিছু খাওয়া ঠিক নয়।
১২. জুতা বাইরে খুলে ঘরে ঢুকবেন। জুতায় জীবাণুনাশক স্প্রে করে প্রতিদিন রোদে দিন। না হয় ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থেকে ফিরে জামাকাপড় ধুয়ে ফেলবেন। মোবাইলটা জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
১৩. বাড়িতে কাজের লোক বা অন্য কেউ এলে ঘরে ঢোকার আগে হাত এবং পা ভালো করে সাবান পানি দিয়ে ধুতে উৎসাহিত করুন।
১৪. খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময় ভাজাপোড়া কম খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার রাখতে হবে।
Discussion about this post