নিউজ ডেস্ক
করোনায় সেরে ওঠা রোগীদের প্লাজমা দিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। এরই মাঝে এ লক্ষ্যে শনিবার (১৬ মে) সকালে ঢামেকের নতুন ভবনের ব্লাড ট্রান্সফিউসন মেডিসিন বিভাগে দুই চিকিৎসকের শরীর থেকে প্লাজমাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এক জনের শরীর থেকে ৫০০ এমএল ও অপর জনের শরীর থেকে ৪০০ এমএল প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা এ প্লাজমা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে শ্বাসকষ্টে ভুগছে এমন করোনা রোগীকে ২০০ এমএল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার(১৬মে) রাতে ঢামেকের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপি সাব-কমিটির প্রধান প্রফেসর ডাক্তার এম এ খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বেচ্ছায় প্লাজমা দানকারী করোনাজয়ী চিকিৎসক দিলদার হোসেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার, অন্যজন মিটফোর্ড হাসপাতালের অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. রওনক জামিল। প্লাজমার অ্যান্টিবডি নির্ণয়ের জন্য এরই মাঝে স্পেন থেকে কিট চলে এসেছে। প্লাজমা অ্যান্টিবডি নির্ণয় পরীক্ষায় ১.১৬০ টাইটার হলে খুব ভালো হয়।
‘অতিরিক্ত হার্টের রোগে ভুগছেন বা উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিক, যাকে ইনসুলিন নিতে হচ্ছে, এমন রোগীর কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ না করাই ভালো। আমরা করোনাজয়ী ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করবো।’
তিনি বলেন, এরই মাঝে আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে এটিএন নিউজের সাংবাদিক আশিকুর রহমান যোগাযোগ করেছেন। তিনি প্লাজমা দিতে রোববার সকালে হাসপাতালে আসবেন।
‘অনেকেই যোগাযোগ করা শুরু করেছেন। এই প্লাজমা সংগ্রহ প্রতিদিনই চলবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, আশা করি আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে করোনায় শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা শুরু করা হবে।’
Discussion about this post