অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নাম কভিড-১৯ নামক করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ গেছে ৩ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যাটা ৫০ লাখ! আশ্বস্তের খবর হচ্ছে, ভাইরাসটিতে সংক্রমিত অধিকাংশ মানুষই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। তবে বয়স্ক এবং যারা আগে থেকেই নানা রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে তীব্র মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীদের জন্য করোনা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ডায়াবেটিস করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মারা যাওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। তবে, টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের কভিড -১৯ এ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা টাইপ ২ রোগীদের তুলনায় বেশি বলে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
এছাড়া সাধারণ রোগীদের তুলনায় টাইপ ১ ডায়াবেটিসযুক্ত রোগীরা কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা সাড়ে তিনগুণ বেশি হয়। অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে এই সম্ভাবনা দ্বিগুণ। প্রতি ১০ জন ডায়াবেটিস রোগীর মাঝে ৯ জনের টাইপ ২ রয়েছে।
বয়স অবশ্য ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ। যে কোন টাইপের রোগী হন না কেন ৪০ বছরের বেশি বয়সের ডায়াবেটিস রোগীরা কভিড -১৯ এ আক্রান্ত হলে ৪০ বছরের কম বয়সীদের তুলনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি রয়েছে।
গত সপ্তাহে পৃথক এক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছিল যে, করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যুর এক চতুর্থাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ছিল। অনুসন্ধানগুলোর ফলাফল এখনো পর্যালোচনা করা হয়নি তবে শীঘ্রই একটি শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল জার্নালে এটি প্রকাশ করা হবে।
গবেষণাটির শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক জোনাথন ভলভজি বলেছেন, ‘এই গবেষণাটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য করোনাভাইরাস হওয়ার ঝুঁকির পরিমাণ এবং টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য বিভিন্ন ঝুঁকিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখায়। এটি আরো দেখায় যে রক্তে উচ্চ গ্লুকোজের মাত্রা এবং স্থূলতা উভয় ধরণের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তোলে।’
সূত্র- গার্ডিয়ান।
Discussion about this post