নিউজ ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কোন প্রতিষেধক নেই, নেই কোন স্বীকৃত ওষুধও। করোনার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশে এই ওষুধের উৎপাদনও শুরু হয়েছে। তবে দেশে এর বাইরেও দু’টি ওষুধ ব্যবহার করে করোনায় সুস্থ হওয়ার হার বেড়েছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেড় হাজার আক্রান্ত রোগীর ওপর এই ওষুধ ব্যবহার করার পর এমন ফল পাওয়ার দাবি করেছেন ওই চিকিৎসকরা। ওই দুই ওষুধ হলো ইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন। যা ব্যবহারে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার হার কয়েক গুণ বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক পুলিশ সুপার মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি কয়েকদিন ধরে রোগী সেরে উঠছে প্রতিদিন প্রায় ১০০ করে। দুটি ইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম এই ওষুধে সুফল মিলছে।’
এই ওষুধের ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ওষুধের গবেষণার দিকেই বেশি জোড় দিচ্ছেন তারা। তারা বলছেন, এমন জরুরি সময়ে এসব ওষুধ ব্যবহারে নিষেধ নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিস্তর গবেষণার তাগিদ তাদের। স্বাস্থ্য বিভাগও বলছে, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন তারা।
রোগী শনাক্তের প্রথম দিনেই দেয়া হচ্ছে দুটি ইভারমেকটিন আর ডক্সিসাইক্লিন দেয়া হচ্ছে সাত দিনে সাতটি। তাতেই মিলছে সুফল। হাসাপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, ইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহারের ফলেই বাড়ছে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা।
বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এ ওষুধ দিয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের প্রচারণা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। তাই গবেষণা করা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলছেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করছেন তারা।
Discussion about this post