নিউজ ডেস্ক
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কনস্টেবল আহসান হাবিব গত ৮ এপ্রিল বগুড়ার আদমদীঘির বাড়িতে যান। হালকা জ্বর-কাশি থাকায় গত ১৩ এপ্রিল তিনি নিজেই আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষা করেন। ১৬ এপ্রিল রিপোর্ট আসে তার করোনা পজেটিভ। ফলে ওই দিন রাতেই পুরো উপজেলা লকডাউন করা হয় এবং বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়। পর পর দুইটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় ২৫ এপ্রিল তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
২৯ বছর বয়সী করোনাজয়ী আহসান হাবিব কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহকর্মীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে নিয়মিত গরম পানি খেতে এবং গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গারগিল করার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ঘন ঘন গরম পানি খেয়েছি এবং গারগিল করেছি। হাসপাতালে অ্যাজিথ্রোমাইসিন (জিম্যাক্স), মন্টিলুকাস্ট (মন্টিকাশ), প্যারাসিটামল ও গ্যাসট্রিকের ওষুধ সেবন করতে দেওয়া হয়েছিল।
তবে কষ্টের অভিজ্ঞাত শেয়ার করে তিনি বলেন, আমাকে আসল যুদ্ধটা করতে হয়েছে রোগের বিরুদ্ধে নয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিরুদ্ধে। যখন আমার রিপোর্ট পজেটিভ আসলো তখন গ্রামের লোকজন নানাভাবে নির্যাতন শুরু করল। আমি আইসোলেশন সেন্টারে যেতে রাজি হওয়ার পরও তারা লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়ি ঘেরাও করল। এক পর্যায়ে তারা আমার বাড়িতে মল ছোড়া শুরু করল এবং আমার মায়ের গায়ে হাতও তুলল। তবে আশার কথা হলো ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি। করোনা আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও এবং বগুড়ার পুলিশ সুপার পাশে ছিলেন। করোনায় আক্রান্তদের সমাজে এখনো খারাপ ভাবে দেখা হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়ান। তাহলে তারা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করার মনোবল পাবে।
Discussion about this post