ক্রীড়া ডেস্ক
করোনা শঙ্কাকে পেছনে ফেলে অনুশীলনে ফিরেছে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। অন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। আবার করোনা ভাইরাসের শঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়াও সম্ভব নয় তাদের। কারণ এখনো করোনার বিপক্ষে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। তাই সবকিছু বিবেচনা করে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেটে বোর্ড (ইসিবি) টেস্ট ম্যাচে করোনার জন্য বদলি ক্রিকেটার খেলানোর পক্ষে নিয়ম চায় আইসিসির কাছ থেকে।
ইসিবি ইতোমধ্যে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে চায় তারা। দুটি থেকে তিনটি স্টেডিয়াম জীবাণুমুক্ত করে খেলায় ফিরতে চায় ইসিবি। তবে এখানেও থাকবে কঠোর নিয়ম। পুরো স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারসহ মোট ১৮০ থেকে ২৫০ জন মানুষক থাকবে। পাশাপাশি সবাইকেই স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে তারপর স্টেডিয়ামে ঢোকানো হবে।
সম্প্রতি ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান প্রশ্ন করে বলেছেন, টেস্টের মাঝপথে যদি কোনো ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয় তখন কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইসিসি ক্রিকেট কমিটি কিছুদিন আগে জানিয়েছে, এমনটা হলে তখন ম্যাচ স্থগিত করে সবাইকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে।
তবে ইংল্যান্ড এখানে আইসিসি সঙ্গে একমত হতে পারছে না।। ইসিবির স্পেশাল অপারেশনস ডিরেক্টর ও সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার স্টিভ এলওয়ার্দি ‘কোভিড-১৯ বদলি’ নামে ক্রিকেটার পরিবর্তনের নিয়ম প্রস্তাব করেছেন।
এলওয়ার্দি বলেন, ‘আমাদের প্রধান মেডিকেল অফিসার নিক পেইরেজ এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করছে। এটির অংশ হিসেবে, কেউ যদি পজিটিভ হয় তবে তাকে যত দ্রুত সম্ভব আলাদা করে ফেলা হবে এবং আইসোলেশন কক্ষে নেওয়া হবে। প্রতিটি ভেন্যুতে আইসোলেশন কক্ষ রাখা হবে, আক্রান্ত ক্রিকেটারকে সেখানে নেওয়া হবে। আমি জানি, আইসিসির পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ বদলির বিষয়টি তাদের বিবেচনায় রেখেছে, প্লেয়িং কন্ডিশনের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ক্রিকেটার পরিবর্তনের বিষয়ে অনেকের একমত হওয়ার প্রয়োজন আছে। এটি (বদলি) মূলত টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই বিবেচিত হবে। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই এই নিয়মটি আইসিসি অনুমোদন দেবে।’
Discussion about this post