ঢাকা: করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে বরং তা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সবার প্রতি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
(৮ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের হটলাইন ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০৯১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ ও ০১৯২৭৭১১৭৮৫ এ যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ
যেমন জ্বর, গলাব্যাথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
এবং পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে
থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে পরিষ্কা করতে হবে হাত। খাবার ভালোভাবে
সিদ্ধ করে খেতে হবে।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে কোনো মিথ্যা বা
ভুল তথ্য প্রচার নজরে এলে তথ্য অধিদফতরের সংবাদকক্ষের ফোন নম্বর ৯৫১২২৪৬, ৯৫১৪৯৮৮, ০১৭১৫২৫৫৭৬৫,
০১৭১৬৮০০০০৮ এবং ইমেইল-piddhaka@gmail.com/piddhaka@yahoo.com অথবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণের
প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে নতুন করে তিন জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত মোট ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মহিলা (৩০), পুরুষ (৩০) ও বয়স্ক পুরুষ (৭০)। বয়স্ক ব্যক্তির অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তিনি আইসিইউতে আছেন। বাকি একজন পুরুষ ইতালি ভ্রমণ করে ফিরেছেন। আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও নারী বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন।
তিনি বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছেন অবশ্যই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করবেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কন্টাক্ট করবেন না। খাবারটাও ঘরে বসে খেতে হবে। তাদের ব্যবহার করা জিনিস আলাদাভাবে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে এসব জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। এরপরেও এসব পরামর্শ না মানলে সরকার আরও কঠোর হবে। ইতোমধ্যে জরিমানা করা হচ্ছে সারাদেশে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, পোস্টার ও লিফলেট দিয়ে আমরা প্রচার করছি। তারপরও বলছি একটি টিস্যু পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। হাঁচি-কাশির পর সাবান পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সামান্য জ্বর বোধ করলেও ঘরে থাকবেন। জরুরি প্রয়োজন হলে মাস্ক পরবেন।
Discussion about this post