ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু থাকবে সীমিত আকারে। জনসাধারণের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকার ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি, ২৭-২৮ সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এসব ছুটির সঙ্গে ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে।
এই সময়ে শুধু নগদ জমা ও উত্তোলনের জন্য অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের লেনদেনের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করণার্থে শাখাগুলোর মধ্যে দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে হবে। অনলাইন সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের শাখাগুলো শুধু নগদ জমা ও উত্তোলনের জন্য খোলা থাকবে। শুধু জরুরি বৈদেশিক লেনদেনের জন্য এডি শাখাগুলো খোলা রাখা যাবে।
উপরোক্ত সবক্ষেত্রে দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ১০টা দুপুর ১২টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সংক্রান্ত গাইডলাইনস যথাযথ পরিপালন ও রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োজিত করে কার্যাবলী সম্পন্ন করতে হবে; এবং এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ ছুটির সময় কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবার পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে।
সাধারণ ছুটির এই সময়ে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে লেনদেন করা যাবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Discussion about this post