চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম নগরে তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। তারমধ্যে দুইটি বাড়ি ওমরা ফেরত এক নারীর দুই ছেলের। যিনি করোনা শনাক্ত হয়ে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। লকডাউন হওয়া বাড়ি গুলা নগরের চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও খুলশি বলে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া। লক ডাউন হওয়া একটি বাড়ি হল নতুন চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডের ৬৪ নম্বর বাসা। চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার এটি নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন, এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে এবং লকডাউনে যাওয়া সেই বাড়ির বাসিন্দাকে সব রকমের সহযোগিতা আমরা করবো। তাকে সেই মোতাবেক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যবাড়িটি করোনা আক্রান্ত সেই নারীর আরেক ছেলের বাসা। যেটি নগরের বাকলিয়া এলাকার সৈয়দ শাহ রোডে বলে জানা গেছে। এদিকে গত ১৩ মার্চ আক্রান্ত ৭১ বছর বয়সী ঐ নারী তার ছেলেসহ ওমরাহ পালন শেষে ‘জ্বর নিয়ে’ দেশে এসেছিলেন। প্রথমে তিনি নগরে তার সেই ছেলের বাসায় অবস্থান করেন। পরে আরো কয়েক জায়গায় ঘুরে ১৮ মার্চ সকালে ভর্তি হন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এরপর ওই নারীর মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তার রক্তের নমুনা ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হলে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর ঐ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক সহ ১৪ জন কোয়ারিয়ান্টাইনে আছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে নগরে অবস্থানরত যার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে সেই সন্তান গত বেশ কিছুদিন ধরে অফিস করেছেন নগরের একটি বেসরকারি ব্যাংকে। তিনি বিষয়টি নিউজনাউ এ স্বীকার করে বলেন, আমি অফিসে ছুটি নিয়েছি। আমার তো করোনা হয়নি, আমি সুস্থ আছি। এখন যেহেতু লকডাউনে আছি পুলিশের নির্দেশ মত সব করছি। আক্রান্ত নারীর আরেক ছেলে কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ। চার মেয়ে সবাই সেই নারীর সংস্পর্শে ছিল গতকয়েকদিন। লকডাউনের খবরে চাঁন্দগাও এবং বাকলিয়া এলাকায় তাদের সংস্পর্শে আসা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া নিউজনাউকে নিশ্চিত করেছেন, বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি তার সকল সন্তানদেরও পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। নগরে লকডাউন হওয়া আরেকটি বাড়ি হল খুলশী আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের একটি ভবন। যা বিকালেই লকডাউন করা হয়। ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা জাপানি নাগরিক আকিরো সাইতো হোম কোয়ারেন্টিইন না মেনে কর্মস্থলে যাতায়াত করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post