শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশে মোট ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন কারো মধ্যেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। ফলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের দিনের মতোই যথাক্রমে ৪৮ ও পাঁচজনে রয়ে গেছে। তবে অগ্রগতি আছে সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরো চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ৭৬ জনের পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৪৮ জনের। এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এবং বাকিরা হাসপাতালে আছে। গতকাল সরকারের পক্ষে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমানও বক্তব্য দেন এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আইইডিসিআরে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের ও চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঁচটিসহ মোট আটটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নতুন করে কারো মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
ড. ফ্লোরা বলেন, যে ১৫ জন এখন হাসপাতাল থেকে বাড়ি গেছে তারা পুরোপুরি সুস্থ; তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো সংক্রমণ নেই। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী; তাদের বয়স দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ বছর। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের লক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা সর্বোচ্চ ১৬ দিন হাসপাতালে ছিল। এ ছাড়া তাদের লক্ষণ ও উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের কিডনি সমস্যা ছিল। তাকে সেখানে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছে ৪৭ জন। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সন্ধ্যায় জানানো হয়, দেশে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৩৪১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল এবং ২৩ হাজার ৮৯৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ করেছে। এ ছাড়া ১৪২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিল গতকাল পর্যন্ত।
Discussion about this post