পুরো বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। আমাদের দেশ ও তার বাইরে নয় কারণ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে। করোনা চিকিৎসায় আবিষ্কার হয়নি ওষুধ। তাই একমাত্র উপায় হলো করোনা সংক্রমিত হওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকা। করোনা সচেতনতায় বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও নিয়েছেন নানা উদ্যোগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইম অ্যাকশনের কর্মীরা টিএসসি প্রাঙ্গণে মূকাভিনয়ের মাধ্যমে কোলাকুলি করা যে বারণ তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। মূকাভিনয়ের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, হাত ধোয়া, কোলাকুলি ও করমর্দন না করার বিষয়গুলো তুলে ধরেন তাঁরা। করোনা প্রতিরোধে প্রথমেই দরকার কিভাবে একজন সংক্রমিত হয় সে সম্পর্কে ধারণা রাখা। আর সেই কাজগুলোই তাঁরা মূকাভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছে জানিয়ে দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্যও করোনা সচেতনতা নিয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের এক কর্মী বলেন, ‘করোনা বৈশ্বিক একটি মহামারিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধ থেকেই কাজগুলো করেছি।’ এদিকে নিজস্ব গবেষণাগারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদ। এগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে , ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বানানো হয় ১০০ বোতল হ্যান্ড রাব। তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ইভা রহমান কবিরসহ অন্য শিক্ষকরা। এরপর পর্যায়ক্রমে বানানো হয় আরো এক হাজার ৫০০ বোতল। এতগুলো হ্যান্ড রাব উৎপাদনেও যেন ক্লান্তি নেই। ক্লিনিং বিভাগ, উৎপাদন বিভাগ, ফিলিং বিভাগ, লেবেলিং বিভাগ, প্যাকেজিং বিভাগ—এভাবে আলাদা আলাদা কাজ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পুরো কর্মযজ্ঞের আয়োজক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ফর্মেসি বিভাগ ও ফার্মা সোসাইটি। ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোকাইনোলজি বিভাগে রোগীদের জন্য ৩০০ বোতলের বেশি হ্যান্ড রাব বুঝিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও হ্যান্ড রাব বিতরণ করা হয়। ২৩ মার্চ গুলশান এলাকার রিকশাচালক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সচেতনতার পাশাপাশি দেওয়া হয় ৫০০ করোনাভাইরাস সেফটি কিট। প্রতিটি কিটে মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড গ্লাভস ছিল। পাশাপাশি বিতরণ করা হয় হ্যান্ড রাবও। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদেরও দেওয়া হয়। শুধু ঢাকায় নয়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালেও দেওয়া হয় এই হ্যান্ড রাব।
Discussion about this post