নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভেন্টিলেটর তৈরিতে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকবে ‘মিশন সেভ বাংলাদেশ’।
এ বিষয়ে মিশন সেভ বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা ইমরান কাদির বলেন, ‘আমরা নিজেরাই একটা জরিপ চালাচ্ছিলাম, আসলেই আমাদের সবার মাঝে করোনা ভাইরাসের উপসর্গগুলো বাড়ছে কিনা বোঝার জন্য। আশার কথা হচ্ছে এখন পর্যন্ত আমাদের পরিচিত মানুষের মধ্যে ওই ধরনের উপসর্গ খুব কমই দেখা গেছে এবং কাউকে এখনো আমার জানা গণ্ডির মধ্যে পাইনি যাকে আমরা সাসপেক্ট করতে পারি করোনা ভাইরাসের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইসোলেশনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা অনেকাংশেই কাজ করেছে। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত। কিন্তু এটা যদি আমরা কন্ট্রোলে না রাখতে পারি, তাহলে যেকোনো সময় এটা আবার বেড়ে যেতে পারে। এটা অনেকটা এটমবোম এর মত, যেকোনো সময় ব্রাস্ট হয়ে হয়ে গেলে বিপদ হয়ে যাবে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ইমরান কাদির বলেন, মিশন সেভ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা সতর্কতার অংশ হিসেবে ভেন্টিলেটর নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আল্লাহ না করুক কোনো কারণে এটা (করোনা পরিস্থিতি) যদি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার ক্রাইসিস তৈরি হবে সেটা হচ্ছে ভেন্টিলেটর।
মিশন সেভ বাংলাদেশ ভেন্টিলেটর তৈরির উদ্যোগগুলোতে অর্থসহায়তা দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা অল্প খরচে ভেন্টিলেটর বানানোর জন্য একটা ডেভলপমেন্ট ফেইজে অলরেডি চলে আসছে বা যারা একটা ভালো প্রোটোটাইপ দিতে পারবে তাদেরকে আর্থিক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আমরা পাশে থাকব।’
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিরূপ প্রভাব ফেলেছে মানুষের জীবনযাপনে। অন্য দেশের মতো এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশেও মানুষের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘মিশন সেভ বাংলাদেশ’। শনিবার থেকে এ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ ঘোষণা দেন।
যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সামর্থ্য অনুযায়ী ‘মিশন সেভ বাংলাদেশ’ উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যুক্ত হতে পারেন। এখন পর্যন্ত মিশনের তহবিলে সংগ্রহ হয়েছে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৩১৬ টাকা।
Discussion about this post