করোনা ভাইরাসের প্রকোপে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সারা বিশ্বে। ক্রিকেটে এর প্রভাব পড়েছে অনেক আগেই। ইতোধ্যেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। একের পর এক দেশ ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটও স্থগিত করে দিয়েছে। যেহেতু খেলা বন্ধ তাই অনুশীলনও নেই। তবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম একটু ব্যাতিক্রম। করোনার কারণে খোলা মাঠে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না থাকলেও, ঘরের মধ্যেই অনুশীলন চালিয়ে নিচ্ছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত এই ব্যাটসম্যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন দেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। যেখানে দেখা গেছে, পুরো দমে ক্রিকেট মৌসুম শুরু হওয়ার আগে ‘প্রি সিজনেও’ হয়তো অনেক ক্রিকেটার এমন সূচি মেনে পরিশ্রম করেন না! মুশফিকের এই ভিডিও সাড়া ফেলেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুটিন পুরো করে ভিডিও আপলোড করেছেন মুশফিক। যেখানে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ! আজকের মতো শেষ। সবাই ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রিকেটাররা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে বন্দি। তবে মাঠের বাইরের পরিশ্রমে মুশফিকের ধারে কাছে নেই কেউ । জাতীয় দলের অনুশীলন থাক বা না থাক, একাই সবার আগে অনুশীলনে চলে আসেন মুশফিক। গত কয়েকদিন ধরে বেশ ঝামেলায়ই পড়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে মিরপুরের শেরে বাংলায় বিসিবি অফিস এখন বন্ধ, সবাইকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে ঘরেই থাকার। ফলে মাঠে গিয়ে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছেন না মুশফিক। তাই বলে যে, ঘরের মধ্যে অলস সময় কাটাবেন মুশফিক- এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। অনেকেই টুকটাক ফিটনেসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকই; কিন্তু মুশফিকের মতো নিয়ম করে জগিং ও গতি নিয়ে কাজ করা, পেশির শক্তি ধরে রাখার মতো কঠোর পরিশ্রম হয়তো কেউ করছেন না। প্রতিদিন রুটিন মেনে ফিটনেসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
নিজের কোয়ারেন্টিন জীবন কেমন যাচ্ছে, আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও পোস্ট করে ভক্তদের দেখিয়েছেন মুশফিক। বাসায় দেয়ালে ৭ দিনের রুটিন করে চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেসের কাজ। ফিটনেস ট্রেনিংয়ে পানির বোতল, বালিশ, চেয়ারও ব্যবহার করছেন। রুমের জানালায় রাবার বেঁধে সারছেন ফিটনেস অনুশীলন। উইকেট কিপিংয়ের অনুশীলন করছেন দেয়ালে টেনিস বল ছুড়ে। এরপর ব্যাট আর টেনিস বল নিয়ে চোখের তীক্ষণতা ঝালিয়ে নেন। টেনিস বলেই বাসার ছোট্ট জায়গায় নক করেন। মাথার অবস্থান, পায়ের কাজ নিখুঁত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঘরেই।
Discussion about this post