আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনের তুলনায় দৈনিক অতি স্বল্প হারে করোনা পরীক্ষার অভিযোগ উঠছিল। এতো কম পরীক্ষা চালিয়ে করোনা শনাক্তকরণ পরিণামে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও আশঙ্কাও করছিলেন অনেকে। এদিকে দিন দিন আরও বড় পরিসরে ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সার্বিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে করোনা পরীক্ষার গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সম্প্রতি চীনের কাছ থেকে ৫ লাখ করোনা অ্যান্টিবডি টেস্টিং কিট পেয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে এখন করোনা স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করছে তারা।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো ভারত জুড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়। শুধু তাই নয়, এ সপ্তাহের মধ্যে দেশ জুড়ে আরও বেশ কিছু করোনা পরীক্ষাগার চালু করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে এরই মাঝে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে করোনার প্লাজমা থেরাপি টেস্ট শুরু হতে যাচ্ছে বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়। প্লাজমা থেরাপি টেস্টে সেরে ওঠা করোনা রোগীর শরীর থেকে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ রক্ত নিয়ে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। ভারতে এরই মাঝে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬শ’র বেশি। চিকিৎসকরা তাদের শরীরে গড়ে ওঠা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে, জটিল রোগীদের চিকিৎসায় কাজে লাগাবেন।
সরকারি হিসেব মতে, ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৩৭ জন।
Discussion about this post