নিজস্ব প্রতিবেদক
উৎকন্ঠায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী অভিবাবক ! কবে এসএসসি পরীক্ষার ফল বেরুবে? অন্যদিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন শেষ করেছেন পরীক্ষকরা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় সেই খাতা বা নম্বরপত্র বোর্ডে জমা দিতে পারছেন না তারা। অন্য দিকে করোনার কারণে পরীক্ষার উত্তরপত্রের ওএমআর শিট স্ক্যানিংয়ের কাজও স্থগিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এ অবস্থায় এবারের এসএসসি ও সমমানের রেজাল্ট প্রকাশে আরো বিলম্বের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানিয়েছে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলে শিক্ষকরা খাতা বা নম্বরপত্র বোর্ডে জমা দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের সাথে জড়িত কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার শুরুর প্রথম দিকের কিছু উত্তরপত্র মূল্যায়ন ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই শেষ হয়েছিল। সেইসব উত্তরপত্রের নম্বরশিট বোর্ডে পাঠিয়ে দিয়েছেন অনেক পরীক্ষক। এ বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিকের কিছু খাতা দেখে ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যেই সেগুলোর নম্বর শিট বোর্ডে পাঠিয়ে দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু পরের দিকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন শেষ হলেও করোনার কারণে তারা সেগুলো বোর্ডে পাঠাতে পারেননি। তবে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে বলেও তারা জানান।
উল্লেখ্য, এ বছর ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রয়ারি শেষ হয়েছে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের লিখিত পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ মধ্যে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরের দিকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন শেষে সেই খাতা বা নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠাতে পারছেন না অনেক পরীক্ষক।
এ দিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে শুরু থেকেই এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্রের ওএমআর শিট স্ক্যানিং স্থগিত রেখেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ফলে যথাসময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শুধু ঢাকা বোর্ড নয়, একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডেও। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অবশ্য দাবি করছেন আতঙ্ক কেটে গেলে ডাবল শিফটে কাজ করে এই বিলম্ব পূরণ করে নেয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়াউল হক জানান, সব পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন ইতোমধ্যে শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকরা। কিছু খাতা বোর্ডে জমাও হয়েছে। তবে করোনার কারণে অনেকে উত্তরপত্র বা নম্বর শিট বোর্ডে এসে জমা দিতে পারছেন না। তবে আমরা আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার ১৫ দিনের মধ্যেই এসএসসি ও সমমানের রেজাল্ট প্রকাশ করতে পারবো।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা পরিস্থিত জটিল আকার ধারণ করার পর প্রত্যেক সেক্টরেই নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রমও সীমিত করে আনা হচ্ছে। দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এসএসসি পরীক্ষার খাতার ওএমআর শিট স্ক্যানিং কার্যক্রম স্থগিত করেছে ঢাকা বোর্ড। একই সাথে মূল্যায়নকৃত খাতা নিয়ে বোর্ডে আসতেও পরীক্ষকদের নিষেধ করা হয়েছে।
Discussion about this post